ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মোট ভোটকেন্দ্রের ৩০ শতাংশ স্পর্শকাতর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথাই বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনও মেনে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনের এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিবেদনে ১৮ হাজার ৪৬১টি বুথকে স্পর্শ কাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি ১৮ হাজার ৩৯৯ জন দুষ্কৃতকারীর তালিকা পেশ করে বলেছে, এসব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে এরা ভোটের সময় গন্ডগোল পাকাতে পারে। যদিও এর আগে ১৬ মার্চ দিল্লি থেকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন কলকাতায় এসে এসব দুষ্কৃতকারীর তালিকা দেখে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তা নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দাগি দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কথাও বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি দুষ্কৃতকারী রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এ সংখ্যা ২ হাজার ২১৩। এর পরে রয়েছে দুই বর্ধমান জেলায়। সংখ্যা ২ হাজার ৯। আর শহর কলকাতায় এই সংখ্যা হলো ৭৫২।
২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে দুষ্কৃতকারীদের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৪২৮। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৯৯।
এর আগে অবশ্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে—এই আশঙ্কায় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সব ভোটকেন্দ্র বা বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা দাবি তুলেছিল। দলটির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে বলেছিল, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যে পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিনিয়ে নেয় শাসক দল তৃণমূল। তাই বিজেপি এই রাজ্যের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৮ হাজার।