সাত বছর পর আজ সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশের চালান ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রথম চালানে থাকছে ২৫ টন ইলিশ। আসন্ন দুর্গাপূজা সামনে রেখে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ইলিশ আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইলিশের চালান যশোরের বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছে গেছে। প্রথম চালানটি এসেছে বরিশাল থেকে। বেনাপোল সীমান্তে রপ্তানিসংক্রান্ত কাজ শেষ না হওয়ায় আজ (গতকাল) ঢুকতে পারেনি। কাজেই সোমবার সকালে সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় পৌঁছাবে। তারপর চলে যাবে হাওড়া, পাঁতিপুকুর ও শিয়ালদহের মাছের পাইকারি বাজারে। সেখানে এই মাছ বিক্রি করা হবে নিলামে।’
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যসম্পদমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেছেন, এবার পূজায় ইলিশপ্রিয় বাঙালির পাতে বাংলাদেশের ইলিশ পড়তে চলেছে।
দুর্গোৎসব সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির এই অনুমতি দিয়েছে। এটি রপ্তানি করছে ঢাকার একুয়াটিক রিসোর্সেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর ভারতে এটি আমদানি করছে নাজ ইমপেক্স ইন্ডিয়া লিমিটেড।
পদ্মার ইলিশ কলকাতায় দারুণ প্রিয়। ইলিশপ্রিয় বাঙালি প্রতিবছরই পদ্মার ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বাংলাদেশ সরকার বন্ধ করে দেওয়ার পর আর বৈধভাবে সেখান থেকে এই মাছ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে আসছে না। ইলিশ রপ্তানির জন্য কলকাতার ইলিশ ব্যবসায়ীরা ভারত সরকারের মাধ্যমে অনুরোধ জানালেও সে ডাকে এত দিন সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।
আনোয়ার মকসুদ বলেন, এবার দুর্গাপূজা সামনে রেখে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২২ সেপ্টেম্বর ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দিয়েছে। মোট ৫০০ টন ইলিশের এই চালান ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে। ইলিশ আসবে শুধু বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত পথে। এরপর চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের নদনদীগুলোতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ে মা ইলিশ এসে ডিম পাড়ে। তাই ইলিশের ডিম ও পোনা সংরক্ষণের জন্য সরকার ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি হিসাবে এ বছর বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ টনে পৌঁছাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।