পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যকে ‘মিনি পাকিস্তান’ তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিহার রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল জেডিইউ। দলটির নেতা ও মুখপাত্র অজয় অলোক মমতাকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘এনডিএ ছেড়ে চারটি রাজ্যে আলাদাভাবে লড়াই করতে চলেছে জেডিইউ। এতে খুশি হতেই পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এতে করে তাঁর অপরাধ ধামাচাপা পড়বে না। এখন তাঁর উচিত মিনি পাকিস্তান বানানোর হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচানো’। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে।
জনসংখ্যা ও লোকসভার আসনের দিক থেকে বিহার এখন ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের দল জেডিইউ বা জনতা দল ইউনাইটেড। এবার লোকসভা নির্বাচনে নিতীশ কুমার ভালো ফল করেছেন। হারিয়ে দিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে। নিতীশ কুমার অবশ্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ বা জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার শরিক।
নিতীশ কুমারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক আছে। নিতীশ কুমার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর দল জেডিইউ আসন্ন দিল্লি, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবে লড়বে। দলকে জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ার লক্ষ্যে আলাদাভাবে নির্বাচনে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন নিতীশ কুমার।
নিতীশ কুমারের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মমতা নিতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে নিতীশ কুমারের দল মমতাকে ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা সুযোগ বুঝে মমতাকে খোঁচা দিয়েছে। দলটির নেতা অজয় অলোক বলেছেন, ‘মমতার রাজ্য থেকে বিহারিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
ছয়টি জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক দল এবার লোকসভা নির্বাচনে ভারতের ৫৪২টি আসনের মধ্যে ৩৭৫টি আসনে জয়ী হয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৩৪২। এবার লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ৬১০টি রাজনৈতিক দল একটি আসনেও জিততে পারেনি। আবার এই ৬১০টি দলের মধ্যে ৫৩০টি দল ভোটই পায়নি। তাদের ভোট প্রাপ্তির হার শূন্য। আবার ৮০টি দল পেয়েছে ১ শতাংশ বা তার কম ভোট। গোটা দেশের ৩৭টি দল এবার লোকসভায় ঢুকতে পেরেছে।