জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান বলেন, ‘তাঁকে হারানোর শোক অঙ্গীকারে পরিণত করে আমাদের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সেটাই হবে তাঁর প্রতি সেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ শনিবার রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। ৪৫ বছর আগে এই দিনে ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুর সাধের সোনার বাংলা গড়তে শপথ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মুহম্মদ ইমরান বলেন, ‘এই কাজে ব্রতী বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে তিনি উন্নয়নের রোলমডেল করে তুলেছেন।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দেওয়া হয়। শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বার্তা পাঠ করা হয়। পালিত হয় নীরবতা।
এই উপলক্ষে হাইকমিশনের মৈত্রী হলে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর তৈরি এক তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক উঠে আসে এক আলোচনাসভায়। এই উপলক্ষে ‘অমর বঙ্গবন্ধু’ নামে এক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন হয়।