পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রচারযুদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে মাসব্যাপী এক পরিবর্তনযাত্রার আয়োজন করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দলটি।
বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনযাত্রার আনুষ্ঠানিক শুরু করা হবে ৬ ফেব্রুয়ারি। এই পরিবর্তনযাত্রা শুরু করা হবে রাজ্যের পাঁচটি স্থান থেকে। উদ্বোধনী যাত্রা শুরু হবে নদীয়ার নবদ্বীপ থেকে। ওই যাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বাকি যাত্রাগুলো শুরু হবে কোচবিহার, কাকদ্বীপ, ঝাড়গ্রাম ও তারাপীঠ থেকে। ৯ ফেব্রুয়ারি তারাপীঠ থেকে দ্বিতীয় পরিবর্তনযাত্রা এবং ঝাড়গ্রাম থেকে তৃতীয় পরিবর্তনযাত্রার সূচনাও করবেন জে পি নাড্ডাই। ১১ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ পরিবর্তনযাত্রা কোচবিহার থেকে সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর কাকদ্বীপ থেকে শেষ পরিবর্তনযাত্রা বেরোবে। তবে এই শেষ পরিবর্তনযাত্রার উদ্বোধন কে করবেন, তা এখনো বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
প্রতিটি পরিবর্তনযাত্রা ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে চলবে। একেকটি পরিবর্তনযাত্রা ৫০ থেকে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাবে। এক মাস ধরে এই পরিবর্তনযাত্রা চলার পর শেষের দিন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল জনসভা হবে। আর সেই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিবর্তনযাত্রায় অংশ নেওয়া প্রতিটি যানবাহনকে রথের আদলে সাজানো হবে। থাকবেন তাতে বিজেপির নেতারা।
এদিকে এই পরিবর্তনযাত্রাকে বন্ধ করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তারঁ দাবি, এই রথযাত্রা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। তাই এই রথযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হোক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হওয়া এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি এই সপ্তাহেই হতে পারে।
এপ্রিলে এই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে প্রচারের জন্য মাঠে নেমেছে রাজ্যের দুই শক্তিশালী দল তৃণমূল, বিজেপিসহ কংগ্রেস ও বাম দল। চলছে পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের প্রচার, সঙ্গে জয়ের লক্ষ্যে সব দলের প্রত্যয় ঘোষণা।