নারদ দুর্নীতি মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার গ্রেপ্তার

এসএমএইচ মির্জা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
এসএমএইচ মির্জা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর নারদ দুর্নীতি মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার এস এম এইচ মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তারের পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারকের আদালতে তোলা হয়।

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মির্জাকে বিচারক সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিকেলেই মির্জাকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দপ্তরে জেরার জন্য নেওয়া হয়।

নারদ দুর্নীতির সময় ২০১৬ সালে মির্জা বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৫ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই ঘটনায় সিবিআই তৃণমূলের নেতা ও বর্তমান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়কে আজ শুক্রবার তলব করেছে। তাঁকে কলকাতার দপ্তর নিজাম প্যালেসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

২০১৬ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ১৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একদল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কের অর্থ গ্রহণের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দিল্লির নারদ নিউজ ডটকম। ওই পোর্টালে দাবি করা হয়, ঘুষসংক্রান্ত ৫২ ঘণ্টার ফুটেজ তাদের হাতে রয়েছে। সেই ভিডিওটি কলকাতার রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে ফাঁস করে বিজেপি।

মুকুল রায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি



স্টিং অপারেশনে যাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের সাংসদ সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন ব্যানার্জি, ইকবাল আহমেদ, কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, সাবেক পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র, পুর ও নগরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুলিশ সুপার এস এম এইচ মির্জা।

কলকাতার সাবেক মেয়র ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, আইনি পদ্ধতিতে এটা সঠিক প্রক্রিয়া। আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এবার বের হবে সরকারি দলের নেতাদের ঘুষ গ্রহণের চিত্র।

নারদ নিউজ ডটকমের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল বলেছেন, এটা ভালো খবর। এবার সেই স্টিং অপারেশনের ফল আসতে শুরু করেছে।