ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর নারদ ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)। সিবিআইয়ের সূত্র উল্লেখ করে আজ শনিবার এ কথা বলা হয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে। এই ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের ১৪ নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীদের ঘুষ নেওয়ার ঘটনা গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফাঁস করে দিল্লির একটি নিউজ পোর্টাল নারদ নিউজ ডটকম। এরপরই এই মামলার তদন্তভার তুলে নেয় সিবিআই। নারদ স্টিং অপারেশনের যাবতীয় তথ্য এবং ভিডিও ফুটেজের ফরেনসিক রিপোর্ট আদালতের মাধ্যমে চলে আসে সিবিআইয়ের হাতে।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফাঁস করে নারদ। পোর্টালটির প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল। এবার দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর সেই মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দিতে চলেছে সিবিআই।
সিবিআই ইতিমধ্যে এই মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। শেষ মুহূর্তে সিবিআই তাদের আইনজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই আদালতে চার্জশিট দিতে পারে।
এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর ঘরে ঘরে, হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে ঘুষের টাকা। স্টিং অপারেশনে যাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ এসেছে, তাঁরা হলেন তৃণমূলের সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় (২০ লাখ টাকা), পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (৫ লাখ), প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ (৫ লাখ), সাংসদ সৌগত রায় (৫ লাখ), সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী (৫ লাখ), সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (৫ লাখ), সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি (৫ লাখ), কলকাতার সেই সময়ের মেয়র শোভন চ্যাটার্জি (৫ লাখ), তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র (৫ লাখ), সাংসদ ইকবাল আহমেদ (৫ লাখ), পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (৫ লাখ) ও পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ এম এইচ মির্জা (৫ লাখ টাকা)।