পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত নারদা ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় চার আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। কাল শুক্রবার এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময়ে ওই চার নেতা আগের আদেশ অনুযায়ী গৃহবন্দী থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৭ মে কলকাতার চাঞ্চল্যকর নারদা দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নবনির্বাচিত বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়; তৃণমূল নেতা, কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম; সাবেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশে কারাগার, হাসপাতাল ও নিজেদের বাসভবনে নজরবন্দীতে রয়েছেন।
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) আবেদনের পরও নারদা ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলাটি গ্রহণ করেননি সুপ্রিম কোর্ট। বরং মামলাটি ফিরিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টকে। গত মঙ্গলবার মামলার শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের গঠিত পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত পাঠানো হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতি হলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেন। হাইকোর্টের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যের এই বৃহত্তর বেঞ্চ।
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের অর্থ গ্রহণের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দিল্লির নারদা নিউজ ডটকম নামের একটি নিউজ পোর্টাল। এরপর থেকে এ ঘটনা নারদা কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত পেয়েছে।