শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে এ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণের শুরুতেই বলেন, বিশ্বভারতী নতুন ভারত তৈরির এক মহান প্রতিষ্ঠান। এটি দেশকে শক্তি জুগিয়েছে, আত্মনির্ভর করার মন্ত্র দিয়েছে ও শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন রূপ দিয়েছে। ভারতকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘কবিগুরুর এই প্রতিষ্ঠান নতুন ভারত নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। আজ আমাদের ভারতবাসীর প্রার্থনা, আমাদের গৌরব দাও। কারণ, এই বিশ্বভারতী আমাদের দেশবাসীর গৌরবের বিষয়।’
করোনা সংক্রমণের কারণে এবার পৌষ মেলা না হওয়ায় শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, স্বাধীনতাসংগ্রামে বিশ্বভারতীর অবদান অতুলনীয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন রূপ দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। দিয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন মাত্রা। তিনি বলেন, গ্রামোন্নয়নে অবদান রেখেছে এই বিশ্বভারতী। জ্ঞানের আন্দোলনে শক্তি ও উৎসাহ জুগিয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে ভারতের মেলবন্ধনের কাজ করেছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে এবার পৌষ মেলা না হওয়ায় শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা। তাই এ বছর হচ্ছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শতবর্ষের অনুষ্ঠান। আজ ভোরে আম্রকুঞ্জে বৈতালিকের মাধ্যমে শতবর্ষের এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবে এবার বন্ধ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত পৌষ মেলা। গত ৯ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।