মোদিকে টেক্কা দিতে এবার পুরোপুরি আসরে নেমে পড়েছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। ধর্ম পালনের বিষয়টি যে একচ্ছত্র মোদির হাতে নয়, তা প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছেন রাহুল গান্ধী। তাই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন হিমালয়ের কৈলাস পর্বত-মানস সরোবরে। পূজা দিয়েছেন সেখানে।
এবার বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কলকাতা আসবেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দুর্গাপূজার মহাষ্টমী বা নবমীতে তিনি কলকাতার কলেজ স্কয়ারের দুর্গামণ্ডপে অঞ্জলি নিতে পারেন। শিবভক্ত রাহুলের লক্ষ্য হিন্দু ভোট নিশ্চিত করা এবং মোদির হাত থেকে হিন্দু ভোট ছিনিয়ে আনা।
গত বছর গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধী ঐতিহাসিক সোমনাথ মন্দিরে গিয়ে পূজা দিয়েছেন। সেদিন তিনি নিজেকে একজন শিবভক্ত হিসেবে প্রচার করেছিলেন। এরপর রাহুল গান্ধী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পূজা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তিনি হিন্দুত্বে বিশ্বাসী।
পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ বা রাজ্য কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সোমেন মিত্রকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়েছিলেন নবনির্বাচিত সভাপতি সোমেন মিত্রসহ রাজ্যের নবনিযুক্ত অন্য নেতৃবৃন্দ। ওই সভায় পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আরও সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন রাহুল। পশ্চিমবঙ্গের নেতারাও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
সভায় রাহুল গান্ধী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর লক্ষ্য। আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে কোনো নির্বাচনী আঁতাতে যাবে না কংগ্রেস। নির্বাচনী সমঝোতা বা জোটের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এই বৈঠকেই কলকাতার পূজায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় রাহুল গান্ধীকে। রাহুল গান্ধীও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাজ্য কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান অমিতাভ চক্রবর্তী বলেছেন, ২০১০ সালেও যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় রাহুল গান্ধীকে কলকাতার পূজায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এবারও তাঁকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তাতে রাজি হন। তবে কবে আসছেন তা নিশ্চিত হয়নি।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধী অষ্টমী বা নবমীতে কলকাতায় আসতে পারেন। ওই সময় তিনি কলকাতার কলেজ স্কয়ারের পূজামণ্ডপ দর্শন করে সেখানে তিনি অঞ্জলি দিতে পারেন। এখন এসব নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের আলোচনা চলছে।