ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছয়জন মারা গেছেন। তাঁরা দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকার একটি মসজিদে তাবলিগ-ই-জামাতের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া একজন ইমাম গত সপ্তাহে শ্রীনগরে মারা গেছেন।
তাবলিগ-ই-জামাতের ওই জমায়েতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কিরগিজস্তান থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই জমায়েত হয়।
২৪ মার্চ ভারত সরকার সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। লককডাউনের মধ্যেও ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ একসঙ্গে অবস্থান করেন। ওই জমায়েতে অংশ নেওয়া ৩০০ জনের বেশি মানুষকে দিল্লিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নয়জন এবং একজনের স্ত্রীর করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে দুজন গান্ধী হাসপাতালে, একজন নিজামউদ্দিনের অ্যাপোলো হাসপাতালে, একজন গাদওয়ালের গ্লোবাল হাসপাতালে মারা গেছেন।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রায়ের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, যাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে বিশেষ বাহিনী কাজ করছে। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরকার জমায়েতে অংশ নেওয়া সবাইকে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছে। জমায়েত থেকে তেলেঙ্গানায় যাওয়ার পর কমপক্ষে ১০ জন ইন্দোনেশীয়র করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গত রোববার রাতে দিল্লির দক্ষিণাঞ্চলে গেছেন। সেখানে অনেক লোকের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তাঁরা।