দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। দিল্লিতে কয়েক দিন ধরে চলা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় গতকাল বুধবার কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি এস মুরলিধর। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে রাজধানী দিল্লিতে দিন কয়েক ধরে চলা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুই শতাধিক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। নিহত হয়েছেন পুলিশ কর্মী, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যও।
গতকাল দিল্লি হাইকোর্টে এক শুনানিতে বিচারপতি এস মুরলিধর বলেন, ‘আমরা ১৯৮৪ সালের মতো আরেকটি ঘটনা দেশে ঘটতে দিতে পারি না।’
দিল্লির সহিংসতা থামাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে একত্রে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এস মুরলিধর।
দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় হাইকোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ায় বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কেন নিজে থেকে মামলা করছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি এস মুরলিধর। বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের না করার পরিণতি দিল্লির পুলিশপ্রধানকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে বলেন এই বিচারপতি।
দিল্লি হাইকোর্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী বিচারপতি ছিলেন এস মুরলিধর। তাঁকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির প্রজ্ঞাপন গতকাল রাত ১১টার দিকে জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার পর এস মুরলিধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বদলি করেছেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম বিচারপতি এস মুরলিধরকে বদলির সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের প্রায় দুই সপ্তাহ পর তাঁকে বদলি করা হলো।
গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বিচারপতি এস মুরলিধরকে বদলির সুপারিশের নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়।