দীর্ঘ ৩৪ বছর পর দিল্লিতে শিখ–বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তির সাজা হলো। দিল্লির নিম্ন আদালত আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত যশপাল সিংকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অন্য অভিযুক্ত নরেশ শেরাওয়াতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। দুজনের জরিমানা হয়েছে ৩৫ লাখ রুপি করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সরকারি বাসভবনে নিজের দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন। সেদিন রাত থেকে টানা তিন দিন ধরে দিল্লিতে শুরু হয় ‘শিখনিধন যজ্ঞ’। বেসরকারি হিসেবে নিহত হয়েছিলেন সাড়ে ৩ হাজার শিখ নারী-পুরুষ। অভিযোগ, ১ নভেম্বর যশপাল ও নরেশ দক্ষিণ দিল্লির মহিপালপুরে একটি দোকানের মালিক ২৫ বছরের হরদেব সিংকে আক্রমণ করে। দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে হরদেব পালিয়ে আশ্রয় নেন অবতার সিংয়ের বাড়ি। ক্ষিপ্ত জনতা তাঁকে তাড়া করে সেই বাড়িতে যায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়ে মারা যান হরদেব ও অবতার।
সাক্ষীর অভাবে মামলাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। গঠিত হয় বিশেষ তদন্ত কমিটি। বন্ধ করে দেওয়া মোট ২৯৩টি মামলার মধ্যে নতুন করে তদন্ত শুরু হয় ৬০টি ঘটনার।
অল ইন্ডিয়া শিখ কনফারেন্স এই রায়ে খুশি। তারা বলেছে, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর দুই অপরাধী সাজা পেলেও তারা অপেক্ষায় আছে সেই সময়কার অভিযুক্ত শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের কী সাজা হয় তা দেখতে। কংগ্রেসের দুই সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সজ্জন কুমার ও জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে মামলা এখনো তদন্তাধীন। অভিযোগ, দাঙ্গার জন্য তাঁরা লোক খেপিয়েছিলেন।