ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)–বিরোধী আন্দোলন ঘিরে অশান্ত দিল্লির শান্তি কামনায় ওডিশায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পূজা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ওডিশার ঐতিহাসিক পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দিল্লিবাসীর সঙ্গে দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় এই পূজা–অর্চনা হয়। ওই মন্দিরে অন্যদের মধ্যে পূজা দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূজা শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই, আমার দেশ ভালো থাকুক। মানুষে মানুষে বিভেদ নয়, সবাই শান্তিতে থাকুন। আমরা খুন চাই না। আমরা শান্তি চাই। দিল্লির ওই ঘটনায় আমি দারুণ মর্মাহত। আমার হৃদয় এই ঘটনার পর কাঁদছিল। চারদিকের এই ঘটনা দেখে আমি এখানে এসেছি শান্তির জন্য। দেশবাসীর কল্যাণ কামনার জন্য। তাই আমি তাদের হয়ে মন্দিরে প্রার্থনা করতে এসেছি। দেশবাসী যেন শান্তিতে থাকে।’
বুধবার সিপিএমের ছাত্রসংগঠন এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক সুজন ভট্টাচার্য ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমরা দাঙ্গাবাজ অমিত শাহকে পয়লা মার্চ কালো পতাকা দেখাব। গো ব্যাক ধ্বনি দেব। তাঁকে এই কলকাতার মাটিতে ধর্মের বীজ বুনতে দেব না।’
আগামী ১ মার্চ কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে জনসমাবেশে সিএএর পক্ষে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে অমিত শাহর। এ বিষয়ে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র একই সুরে বলেছেন, ‘মোদির ন্যায় অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাব কলকাতায়।’
এদিকে দিল্লির সহিংস ঘটনা ও বহু মানুষের জীবনহানির প্রতিবাদে দিল্লিসহ সারা দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় শান্তি ও মোমবাতি মিছিল বের করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড় থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল শেষ হয় কলকাতার ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন তৃণমূলের নারীনেত্রী শশী পাঁজা, স্মিতা বকসী, কৃষ্ণা চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে।