ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটে সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট হচ্ছে না। শাসক বিজেপি ও আঞ্চলিক দল আইপিএফটির জোটেও রয়েছে জটিলতা। এ অবস্থায় রাজ্যে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল।
ত্রিপুরায় লোকসভার আসন দুটি। দুটি আসনই বর্তমানে বাম দল সিপিএমের দখলে। কিন্তু গত বছর রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে সিপিএম।
আজ সোমবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথম দফায় ৭ এপ্রিল ভোট শুরু হয় ত্রিপুরায়। এবারও প্রথম দিকে ত্রিপুরায় ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিজেপি-বিরোধী দলগুলোকে প্রার্থী না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট কংগ্রেসের দিকে।
কিন্তু রাজ্য কংগ্রেসের সহসভাপতি তাপস দে প্রথম আলোকে বলেন, এখানে সিপিএমের সঙ্গে তাঁরা কোনো সমঝোতায় যাবেন না। তাপসের দাবি, কংগ্রেস দুটি আসনেই প্রার্থী দেবে। তবে উপজাতিদের সঙ্গে সংরক্ষিত আসনে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে আঁতাতের রাস্তা খুলে রাখেন এই কংগ্রেস নেতা।
অন্যদিকে, শাসক জোটেও জটিলতা স্পষ্ট। গত বছর ৯ মার্চ ত্রিপুরায় বিজেপি ও উপজাতিদের সংগঠন আইপিএফটি সরকার যাত্রা শুরু করে। টানা ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মানিক সরকারের সরকারকে পরাস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিপ্লব কুমার দেব।
আইপিএফটির সহসভাপতি অনন্ত দেববর্মা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুটি আসনেই প্রার্থী দেবেন।
জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনটি দাবি করেছিল আইপিএফটি। কিন্তু বিজেপি রাজি না হওয়ায় দুটিতেই এখন তারা প্রার্থী দিতে চায়।
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই তাঁরা জোটের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।
গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যের উন্নয়নে আইপিএফটি নেতাদের সার্বিক সহযোগিতার প্রশংসা শোনা যায় বিপ্লবের মুখে। তাই শাসক দলের জোটে জটিলতা থাকলেও এখনই সমঝোতার রাস্তা বন্ধ হয়নি বলেই অনেকে মনে করছেন।