ভারতের ত্রিপুরায় গতকাল বৃহস্পতিবার ২০টি পৌরসভার ২২২টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছে। এই ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির অভিযোগ, সন্ত্রাস, বুথ দখল, ভোট চুরি, ভোটদানে বাধা দিয়েছে শাসকদল বিজেপি।
তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ত্রিপুরায় পৌর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। তাই আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তারা। দলটি চাইছে, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে পুনরায় ভোট হোক। এই ভোট বাতিলের দাবি তুলেছে ত্রিপুরার সিপিএমসহ বামদলগুলোও।
ত্রিপুরার বিরোধী দলগুলো বলছে, গতকাল ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপির নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে পৌরসভার ভোট প্রহসনে পরিণত হয়। অধিকাংশ ভোটারকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। বুথ দখলের ঘটনাও ঘটেছে। এসব কাজে পুলিশের সহায়তা নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগও আনা হয়েছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেছেন, ‘ত্রিপুরার ভোটে গোলমাল-হাঙ্গামা হয়নি। মানুষ উৎসবের মেজাজে ত্রিপুরায় ভোট দিয়েছে।’
এদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় তো গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে। কীভাবে পৌর ভোটে গণতন্ত্রকে হত্যা করা যায়, তা দেখিয়ে দিল ত্রিপুরার বিজেপি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে পুনরায় ভোটের দাবি জানাচ্ছি।’
ত্রিপুরার ২০টি পৌরসভার মধ্যে ৭টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় বিজেপি। কাউকেই ওই সব পৌরসভায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি বিজেপি।
পৌর নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফ। এ ছাড়া ছিলেন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের সদস্যরাও। আগরতলা পৌর করপোরেশনের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পাঁচজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর অন্যান্য পৌরসভায় নিয়োগ করা চারজন করে। এদের সঙ্গে রয়েছে ত্রিপুরা পুলিশও।