টক শোতে নেতারা কী বলবেন, সে সীমারেখা ঠিক করে দিল বিজেপি

নুপুর শর্মা
ছবি: টুইটার

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের কারণে বিশ্বে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। এর জেরে দলের মুখপাত্র ও নেতাদের টিভি বিতর্কে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সীমারেখা নির্ধারণ করেছে বিজেপি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিজেপি অনুমোদিত মুখপাত্র ও প্যানেলিস্টরাই এখন থেকে টিভি বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন। কারা টেলিভিশনের বিতর্ক বা টক শোতে অংশ নিতে পারবেন, সে তালিকা করবে বিজেপির মিডিয়া সেল। সে তালিকায় থাকা সদস্যরাই টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিতে পারবেন।  

কোনো ধর্ম, ধর্মীয় প্রতীক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সমালোচনা না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে মুখপাত্রদের। বিতর্কের সময় প্যানেলিস্টদের সীমা অতিক্রম না করতেও বলা হয়েছে। ভাষা সংযত রাখার জন্য বলা হয়েছে। কোনো উসকানির মুখেই তাঁরা দলীয় আদর্শ ও রীতি ভঙ্গ করতে পারবেন না। টিভি বিতর্কের টপিক বা বিষয়বস্তুকে প্রথমে জেনে টেলিভিশনে যাওয়ার জন্য মুখপাত্রদের নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। চ্যানেলে উপস্থিত হওয়ার আগে এ বিষয়ে প্রস্তুতি এবং দলীয় সীমারেখা সম্পর্কে অবহিত হতে বলা হয়েছে।

দুই নেতার মন্তব্যর পরে কমপক্ষে ১৬টি দেশ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ইতিমধ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কুয়েতের একটি সুপারমার্কেট ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলেছে।

বিজেপির তৎকালীন জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা গত সপ্তাহে এক টেলিভিশন বিতর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যমপ্রধান নবীন কুমার জিন্দালও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর টুইট করেন। সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন নূপুর।

আর টুইট মুছে ফেলেন জিন্দাল। দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের ব্যাপারে প্রথমে নিশ্চুপ ছিল বিজেপি ও ভারত সরকার। দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে বিজেপি ও ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। নূপুরকে সাময়িক ও জিন্দালকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব মন্তব্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজস্ব অভিমত। ভারত সরকারের মনোভাব নয়। ভারত সরকার সব ধর্মের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল।