ভারতের আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রবি শংকর প্রসাদ এ কথা বলেন। আজ রোববার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার মেহবুবা এক সংবাদ সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নতুন করে সংগ্রামের ডাক দেন।
এদিন মেহবুবা বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় পতাকা তুলবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনেও লড়বেন না।
মেহবুবার ওই মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ তুলে তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্র রায়না গতকাল শনিবার বলেন, ‘এই দেশবিরোধী মন্তব্যের জন্য মেহবুবাকে এখনই গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকানো উচিত।’
মেহবুবার মন্তব্য প্রসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ফিরিয়ে আনবেন বলে পিডিপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি প্রকাশ্য নিন্দাস্বরূপ।
রবি শংকর প্রসাদ আরও বলেন, যথাযথ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পর গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বিপুল সমর্থনের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হয়।
মেহবুবার মন্তব্যের ব্যাপারে বিরোধীদের ‘নীরবতার’ সমালোচনা করেছেন রবি শংকর প্রসাদ।
প্রায় ১৪ মাস বন্দী থাকার পর ১৩ অক্টোবর মেহবুবা মুক্তি পান। ১৫ অক্টোবর তিনি ‘গুপকর ঘোষণা’ অনুযায়ী বৃহত্তর জোটের শরিক হন।
জোটটির লক্ষ্য ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে জম্মু-কাশ্মীরের যে অবস্থান ছিল, তা ফিরে পাওয়া। অর্থাৎ, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদার পুনর্বহাল। এই রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়ার পর শুক্রবার মেহবুবা সংবাদ সম্মেলনে আসেন।