আগামী বছর ভারতের পাঞ্জাব বিধানসভা দখলের জোরালো দাবিদার হিসেবে আম আদমি পার্টি যে উঠে আসছে, আজ সোমবার তার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড় পৌরসভার ভোটে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা একক গরিষ্ঠ দল হিসেবে মাথা তুলল। চণ্ডীগড় ভারতের দুই রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজধানী। যদিও এটি ওই দুই রাজ্যের প্রশাসনিক আওতায় পড়ে না। এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
চণ্ডীগড় পৌরসভার মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ছিল ২৬। ২০১৬ সালের ভোটে শাসক আকালি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি জিতেছিল ২০টি আসন। আকালি একটি। বাকি পাঁচ আসনের মধ্যে চারটি পেয়েছিল কংগ্রেস, একটি স্বতন্ত্র।
এবার মোট আসন বেড়ে হয়েছে ৩৫। বিজেপি প্রতিটিতেই লড়েছে। পেয়েছে ১২টি আসন। প্রথমবার লড়াই করে আম আদমি পার্টি জিতেছে ১৪টি ওয়ার্ডে। আকালি দল একটি আসনেই আটকে থেকেছে। কংগ্রেস পেয়েছে আটটি। ফল প্রকাশের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে বলেন, ‘এ ফল পাঞ্জাবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাঞ্জাবের মানুষ ইমানদার রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন। ভোটের ফলে তারই প্রমাণ।’
একক গরিষ্ঠ দল হলেও আম আদমি পার্টি পৌরসভা দখল রাখতে পারবে কি না সংশয় রয়েছে। বোর্ড দখলে তাদের কংগ্রেসের সাহায্য প্রয়োজন। দুই দলে বনিবনা কখনো হয়নি। এ ছাড়া সরাসরি ভোট হওয়া ৩৫ আসন ছাড়াও বোর্ডে উপরাজ্যপালের মনোনীত আসন রয়েছে ১০টি। উপরাজ্যপাল বিজেপির প্রবীণ নেতা বানোয়ারিলাল পুরোহিত। তাঁর মনোনীত সদস্যদের সমর্থন বিজেপিরই পাওয়ার কথা। এসবের বাইরে রয়েছে দল ভাঙানোর খেলায় বিজেপির পারদর্শিতা, সাম্প্রতিক কালে যে নিদর্শন দেশের শাসক দল বারবার রেখেছে।
পাঞ্জাবে অবশ্য নতুন এক ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের ২২টি প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন বিধানসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা গঠন করেছে নতুন দল। নাম ‘সংযুক্ত সমাজ মোর্চা’। এ সংগঠনগুলো দেড় বছর ধরে কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। সংযুক্ত কিষান মোর্চার (এসকেএম) শরিকও ছিল। নতুন এ দলের নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল। যদিও এসকেএম জানিয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। তেমনই থাকবে। কৃষক সংগঠন ভোটে দাঁড়ালে কোন দলের ওপর তার কী প্রভাব পড়বে এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘোষণার আগে বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, পাঞ্জাবের মূল লড়াই শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির।