সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে বিএসএফ বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই কর্মকর্তার নাম। এঁদের একজন মুর্শিদাবাদের সাবেক কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার এবং অন্যজন মালদহের কমান্ড্যান্ট জিবু ম্যাথু। সেই সঙ্গে আরও উঠে আসে পাচার চক্রে জড়িত সীমান্তের তিন বড় ব্যবসায়ীর নামও।
এই চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিএসএফ কমাড্যান্ট সতীশ কুমারের যোগসাজশ থাকায় সীমান্তে অবাধে চলত গরু পাচার। আর সীমান্তে পাচারকালে কোনো গরু ধরা পড়লে তা বিএসএফ আটক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সস্তায় নিলামে বিক্রি করে দিত।
ওই সব গরু রোগা, অসুস্থ ও বাছুর হিসেবে চিহ্নিত করে নিলামে তুলত। আর নিলামে কিনত ওই পাচারকারী তিন ব্যবসায়ী ও তাঁদের এজেন্টরা। তারপর আবার তারাই ওই গরু পাচার করে দিতেন বাংলাদেশে। এরপর এই বিক্রির টাকা ভাগ হতো বিএসএফ, সীমান্তের শুল্ক বিভাগ আর পুলিশের মধ্যে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বরে তল্লাশির পর উঠে আসে পাচারকাণ্ডে আরও পাঁচ বিএসএফ কর্মকর্তার নাম। এ নিয়ে সিবআই সাত বিএসএফ কর্মকর্তার নাম পায়, যাঁরা গরু পাচার চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। শুধু জড়িতই নন, তাঁদের মদদেই রমরমা ছিল সীমান্তে গরু পাচার।