ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দির এলাকায় পদদলিত হয়ে ১২ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে পূজা দিতে বহু ভক্ত মন্দির চত্বরে ভিড় জমালে হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর বৈষ্ণোদেবীর মন্দির। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে পূজা দিতে মন্দিরের বৈষ্ণোদেবী ভবনে ভিড় জমান তীর্থযাত্রীরা। মন্দিরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, ‘অনুমতিপত্র না নিয়েই বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী বৈষ্ণোদেবী ভবনে প্রবেশ করেছিলেন।’
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজিপি) মুকেশ সিং বলেছেন, মন্দিরে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় ১২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহত ব্যক্তির প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি করে।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহার সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর বেদনা বোধ করছি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা আর আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা থাকল।’
পদদলিত হয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহত ব্যক্তিদের ২ লাখ রুপি করে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মনোজ সিনহা আরও বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ দেবে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।