ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে পুলিশের গুলিতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তিরা আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ নিয়ে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
পাক-ভারত সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) পাকিস্তান অংশ থেকে ছোড়া চোরাগোপ্তা গুলির আঘাতে ভারতীয় দুই সেনা নিহত হওয়ার এক দিন পরই আজ শনিবার এ ঘটনা ঘটল।
এই ছয়জন কাশ্মীরের ছোট্ট বিদ্রোহী দল আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সদস্য। শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা মুনির আহমাদ খান এএফপিকে বলেন, এখন শুধু সংগঠনটির প্রধান জাকির মুসা বেঁচে আছেন।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্যাম প্রকাশ পানি এএফপিকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ট্রাল এলাকায় একটি ফলের বাগানে সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এরপর ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর স্থানীয় শত শত লোক রাস্তায় বের হয়ে আসে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীদের বড় ধরনের জমায়েত ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা ও ট্রেন সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণকারী একটি গ্রুপ জানায়, এক দশকের মধ্যে এ বছরে ১৫০ জন সাধারণ মানুষসহ ৫৫০ জন নিহত হয়েছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজের বলে দাবি করে আসছে।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিদ্রোহীদের অস্ত্রের জোগান দেয় ইসলামাবাদ। তবে পাকিস্তান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
দশকের পর দশক ধরে ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিদ্রোহী ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। ভারত সরকার কাশ্মীর পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পাঁচ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। এখনো পর্যন্ত এ সংঘর্ষে লাখো মানুষ নিহত হয়েছে, যার বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ।