শীত মৌসুম এলেই ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শাল বিক্রেতারা ছুটে আসেন কলকাতা শহরে। শুধু কলকাতা নয়, এসব শাল বিক্রেতা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েন। এবার কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে কলকাতা পুলিশ।
কোনো শাল বিক্রেতা কলকাতা বা অন্য কোথাও যাতে লাঞ্ছিত না হন, এ জন্য কলকাতা পুলিশ প্রতিটি থানায় নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক কাশ্মীরি শাল বিক্রেতার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের ওপর নজর রাখতে হবে, যাতে তাঁরা কোনো হামলার শিকার না হন। এসব শাল বিক্রেতা কোথায় থাকছেন, এর তালিকাসহ টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শাল বিক্রেতাদের বলা হয়েছে, প্রয়োজনে নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করতে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলা, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ, কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা থেকে বাদ দিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করার পরও কেবল রুটিরুজির তাগিদে শাল ব্যবসায়ীরা ছুটে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গে। এর আগে পুলওয়ামা হামলার পর কলকাতার তিলজলা, বেহালাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় কাশ্মীরিরা হামলার শিকার হন। বিষয়টি কথা মাথায় রেখেই এবার কলকাতা পুলিশের প্রধান দপ্তর লালবাজার আরও বেশি সজাগ হয়ে কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাদের নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে।
কলকাতায় আসার পর বেশির ভাগ কাশ্মীরি ব্যবসায়ী বাসা ভাড়া করে থাকেন। শাল, সোয়েটার, কার্পেট, জ্যাকেট, কার্ডিগান, স্কার্ফ, কম্বলসহ শীতের নানা জিনিসের পসরা নিয়ে আসেন তাঁরা। অনেক সময় বাকিতেও শাল বিক্রি করেন। আবার কখনো কিস্তিতেও বিক্রয় করেন। শাল বিক্রি করে মৌসুম শেষে চলে যান নিজের রাজ্যে। তারপর আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে এসে বাকি টাকা আদায় করেন। এভাবেই কলকাতা ও রাজ্যজুড়ে চলে কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাদের ব্যবসা। সাধারণত দুর্গাপূজার পরই কলকাতায় আসতে শুরু করেন তাঁরা। অনেক ব্যবসায়ীর শালের দোকান রয়েছে কলকাতা শহরে।