নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি দিল্লি আদালত। গত সোমবার পুলিশ এই অভিযোগপত্র দাখিল করে। আজ শনিবার এর ওপর শুনানি হয়। আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুলিশের সমালোচনা করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠনের আগে দিল্লি সরকারের কাছে অনুমোদন নেয়নি পুলিশ। আর এতেই আদালত ক্ষুব্ধ হন। শুনানিতে আদালত বলেন, ‘আইন বিভাগের অনুমোদন আপনাদের কাছে নেই। অনুমোদন ছাড়া আপনারা কেন অভিযোগপত্র গঠন করলেন?’ পরে পুলিশকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আদালত।
দিল্লি পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া যাবে। গত সোমবার কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে ১২০০ পাতার অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল পুলিশ। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতীয়তাবিরোধী’ অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ রয়েছে উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যসহ জম্মু ও কাশ্মীরের আরও সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
অবশ্য কানহাইয়া কুমার ও উমর খালিদ শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁদের দাবি, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অভিযোগে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে আফজাল গুরুর ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আফজাল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই সময় এসব শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তখন অভিযোগ উঠেছিল, শাসক দল বিজেপির পক্ষে কাজ করছে দিল্লির পুলিশ। ওই সময় এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।