১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজয় উৎসব। ৭ বছর ধরে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে এ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অতিথি হচ্ছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী ও দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা। সভাপতিত্ব করবেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান ।
উৎসবে তিন দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বাংলাদেশের শিল্পী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত শিল্পীরাও। প্রতিদিন থাকবে আলোচনা সভা। উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের পণ্যের এক প্রদর্শনীর। থাকছে বাংলাদেশের নানা খাবারও। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
এবারও ১৬ ডিসেম্বর সাড়ম্বরে পালন করবেন ভারতীয় সেনাসদস্যরা। বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন সাংসদ কাজী রোজীর নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তাসহ তাঁদের পরিবারের ৭২ জন প্রতিনিধি। গত বছরেও ৭২ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এবার ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
বিজয় দিবসের সূচনা হবে কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে মিলিটারি ব্যান্ডের কনসার্টের মাধ্যমে। থাকবে মিলিটারি ব্যান্ডের প্রদর্শন। থাকবে আরসিটিসিতে মিলিটারি ট্যাটু, হেলিকপ্টার প্রদর্শন, বাইক প্রদর্শন, ঘোড়া-কুকুরের কসরত ইত্যাদি। এ উপলক্ষে কলকাতার এই পূর্বাঞ্চলীয় সেনাসদরে বিজয় দিবসবিষয়ক এক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।
এবার বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছেন, তাঁদের তুলে দেওয়া হবে মরণোত্তর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা। এ তালিকায় ২০ জন ভারতীয় শহীদ সেনার নাম রয়েছে।