১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ঐতিহাসিক দিন। ওই দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন স্বাধীনতাপ্রিয় অসংখ্য মানুষ। শহীদ হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঢাকার রাজপথ সেদিন হয়েছিল রক্তে রঞ্জিত। সেদিনের স্মরণে রোববার কলকাতায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রোববার বিকেলে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে এ উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী। আলোচনা সভায় স্বাগত ভাষণ দেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যার নানা ঘটনার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সেদিন বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। লড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধে জয়ী হয়ে আজ বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন দেশের সৃষ্টি। এই দেশ গড়তে গিয়ে সেদিন যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বক্তারা।
এদিন উপহাইকমিশনে গণহত্যার ওপর এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। দেখানো হয় জহির রায়হানের ‘স্টপ জেনোসাইড’ তথ্যচিত্রটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেদিনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পড়ে শোনানো হয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী।