করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সামাল দিতে তৃতীয় দফায় ভাইরাসপ্রতিরোধী ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে ভারতে। গত এপ্রিলে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালসকে এই কাজে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই ভাইরাসরোধী ফ্যাভিপিরাভির ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার ভারতের নামী ১০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কোভি–১৯–এ আক্রান্ত রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এ বছর জুলাই-অগস্টের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ওই সংস্থা। ভারতের সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জাপানের ফুজিফিলম ক্যামিক্যালস কোম্পানি ২০১৪ সালে এই ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটিকে ‘অ্যাভিগান’ নামে তৈরি করে। ওষুধটি ছিল ফ্লু প্রতিষেধক। মাসখানেক আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, ওষুধটি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে। এরপর এই ওষুধ জাপান নিজেদের দেশে প্রয়োগ করে । পরবর্তী সময়ে চীন, রাশিয়া, ইতালিতেও শুরু হয়। এসব দেশে কিছুটা সাফল্য পাওয়া যায়।
ভারতের গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালসের গবেষক ও কর্মীরা ওষুধটির মূল উপাদান তৈরি করতে সফল হয়েছেন। এবার এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে রোগীদের শরীরে।
সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা ট্যানন বলেন, ‘এখনো করোনার কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক তৈরি না হওয়ায় আমরা ওষুধটি নিয়ে আশাবাদী। এটা হলে আমরা কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অনেকটাই এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গত এপ্রিলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চীনের এক কর্মকর্তা। এরপরই ভারতে তৃতীয় পর্যায়ে শুরু হয় ওষুধটির তৈরির কাজ।
এর আগে গত সপ্তাহে ভাইরাসরোধী রেমডেসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলও ইতিবাচক হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, ওই ওষুধে দ্রুত সেরে উঠছেন করোনা রোগীরা। ভারতের আর একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা স্ট্রাইডস ফার্মা সায়েন্স লিমিটেড বাণিজ্যিকভাবে ফ্যাভিপিরাভির ট্যাবলেট তৈরি করেছে। এর প্রয়োগের জন্য ওই সংস্থা এবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে।