ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এবার দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।
গত সোম ও মঙ্গলবার ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্নকক্ষ লোকসভায় ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। করা হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকারের সিদ্ধান্তে দারুণ খুশি তাঁর দল বিজেপি। এ জন্য তারা দেশজুড়ে বিজয় মিছিল করেছে। অন্যদিকে, বিজেপিবিরোধীরা প্রতিবাদ করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি তুলেছে তারা।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনার পর বিজেপির অন্দরে বইছে আনন্দধারা। তার প্রমাণ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়। গতকাল বুধবার দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘৩৭০ ধারা উঠেছে। এবার রাম মন্দিরও হবে।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি আরও বলেন, ‘রাম মন্দির ভগবান রামের ইচ্ছাতেই হবে। এখন দেশে এই নিয়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানুষও চাইছে রাম মন্দির হোক। আর বিজেপি এই কাজ করবে। ভালো কাজ তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত।’
দিলীপ ঘোষের ভাষ্য, বহু বছর ধরে মানুষের বাসনা ছিল ৩৭০ ধারা বিলোপ হোক। এবার সেটা হয়েছে। বাকিটাও হবে। মানুষ এবার বিজেপিকে আরও অধিক শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, ৩৭০ ধারা যে ভারতবর্ষ ও কাশ্মীরের মানুষ চাইত না, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। সারা দেশের মানুষ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। অনেক বিরোধী নেতাও ব্যক্তিগতভাবে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের ভাষ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে আপত্তি ছিল না। আপত্তি ছিল তাঁর এই ধারা বাতিলের পদ্ধতি নিয়ে। তাই এবার মমতাও বুঝেছেন, এটা ভালো পদক্ষেপ। তাই তো মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাস হয় ৩৭০-৭০ ভোটে।