অবশেষে মুক্তি পেলেন ওমর আবদুল্লাও। জম্মু-কাশ্মীরের এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাকে আরও অনেকের সঙ্গে গত বছরের ৫ আগস্ট গৃহবন্দী করা হয়েছিল। পরে জন নিরাপত্তা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৩২ দিন পরে অবশেষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলো।
কদিন আগে ওমরের বাবা ৮৩ বছরের ফারুক আবদুল্লা মুক্তি পান। তার আগেই ওমরের বোন সারা আবদুল্লা পাইলট বড় ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। চলতি সপ্তাহে সেই বিষয়ে কেন্দ্রকে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
আবদুল্লা পরিবার মুক্তি পেলেও পিডিপি নেত্রী ও রাজ্যের আরও এক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এখনো বন্দী রয়েছেন। তাঁদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
আট মাস পর মুক্তি পেয়ে ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেন, ‘অবশেষে হরি নিবাস ছাড়লাম। ৫ আগস্ট ২০১৯ যে পৃথিবী দেখেছিলাম, এটা তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।’ তিনি বলেন, মেহবুবা মুফতিসহ আটক অন্য সবাইকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। ৩জি ও ৪জি পরিষেবা অবিলম্বে চালু করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আজ বুঝতে পারছি জীবন-মরণ এক লড়াই শুরু হয়েছে। এ সময় সবার মুক্তি পাওয়া দরকার। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের সব নির্দেশ মেনে চলা উচিত।’
ফারুক আবদুল্লা মুক্তি পাওয়ার পর মেহবুবার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওমর মুক্তি পাওয়ায় মেহবুবা মুফতি খুশি। তবে সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘সরকার বড় গলায় নারী শক্তির বিকাশ নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কথা বলে! অথচ এখন মনে হচ্ছে এই সরকার নারীদেরই সবচেয়ে ভয় পায়!’