এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধে সেরে উঠলেন করোনায় আক্রান্ত দম্পতি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কিছু পর্যটক মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। রয়টার্স ফাইল ছবি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কিছু পর্যটক মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। রয়টার্স ফাইল ছবি

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ইতালীয় দম্পতিকে এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়ার পর তাঁরা সেরে উঠেছেন। তাঁদের দুই দফা পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। রাজস্থানের স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রোহিত কুমার সিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদেন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ‘নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের’ অনুমতি পেয়েছে। জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতেই শুধু এ ধরনের ওষুধ প্রয়োগের বিধান আছে। তবে আইসিএমআরের কর্মকর্তারা বলছেন, দুজন সেরে ওঠা মানে এই নয় যে ওই দম্পতির ওপর প্রয়োগ করা ওষুধ করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকর। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আর আর গঙ্গখিধর বলেছেন, ‘চীনে এ নিয়ে কাজ চলছে। সেখানে বড় ধরনের প্রয়োগের ফল দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’

সেরে ওঠা ইতালীয় দুজনের মধ্যে স্বামীর বয়স ৬৯, স্ত্রীর ৭০। ৩ মার্চ পুরুষটির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরদিনই তাঁর স্ত্রী আক্রান্ত হন। তাঁদের সরকারি সাওয়াই মান সিং হাসপাতালে রাখা হয়। দুজনের অবস্থা সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছানোর পরই এইচআইভির প্রতিরোধী ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এরপর তাঁদের দুই দফায় করোনার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু ফল নেগেটিভ আসে।

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ইতালীয় দম্পতির ওপর এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ প্রয়োগের কথা স্বীকার করেছেন। রাজস্থানের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে ৮৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আসেন। ১১ মার্চ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। এই ব্যক্তিকেও এইচআইভির ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির অনুমতি নিয়েই ওষুধ দেওয়া হয়েছে।