ভারতের আসাম রাজ্যে বিষাক্ত মদ্যপানে কমপক্ষে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২৭ জনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার সালমারা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে। শোক আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় চা-শ্রমিকেরা।
গতকাল রাত থেকে শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল। মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে মদ বিক্রেতারও। গতকাল দুই নারীসহ অন্তত ১২ জন প্রাণ হারান। আজ শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সঞ্জু ওরাং নামে স্থানীয় এক মদ বিক্রেতার কাছ থেকে ‘চোলাই মদ’ খেয়ে এই ঘটনা ঘটে। মদের বিষক্রিয়ায় বিক্রেতা সঞ্জুও গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বিধায়ক মৃণাল শইকিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
জেলার পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম শইকিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে এই বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ১৯ জনই শালমারা চা-বাগানের শ্রমিক। বাকি তিনজন পাশের নরাগাঁও ও যোগিবাড়ীর বাসিন্দা।
ভারতে চা-শ্রমিকদের মধ্যে চোলাই বলে পরিচিত স্থানীয় মদ পান বহুদিন ধরে চলে আসছে। সন্ধ্যার পর নারী-পুরুষ একসঙ্গে মদ্যপান করেন। বেআইনি এই মদ্যপানে প্রায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপরও চা-বাগান এলাকায় চোলাইয়ের রমরমা বাণিজ্য চলছেই। তাই স্থানীয় লোকজন এবারও পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।