ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালিদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নানা নথিপত্র থাকার পরও নাগরিকত্ব প্রমাণে লড়তে হচ্ছে বাঙালিদের।
সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্রসংগঠনের (আমসু) নেতা রেজাউল করিমের অভিযোগ, ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘুদের হয়রানি করার জন্য রাজ্যে একটি মহল সক্রিয়। আসামের স্থায়ী বাসিন্দা সংখ্যালঘুদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। নাগরিকত্বের হাজারো প্রমাণ সংখ্যালঘুদের হয়রানির হাত থেকে বাঁচাতে পারছে না।
একই অভিযোগ আসামের সাংবাদিক আফ্রিদা হোসেনের। নথিপত্র থাকার পরও হয়রানির উদাহরণ তুলে ধরে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নওগাঁও জেলার জুরিয়া থানা এলাকার দিঘলিয়াতি গ্রামে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছেন তিনি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফাতিমা খাতুন ও নুরুল ইসলাম দুই ভাইবোন বংশপরম্পরায় আসামের বাসিন্দা। ফাতিমা ও নুরুলের দাদার নামে ১৯৩৫ সালের জমির দলিল রয়েছে। তাঁদের বাবার নাম রয়েছে ১৯৫১ সালের ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে (এনআরসি)। ভারতীয় ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে তাঁদের পরিবারের। স্বাভাবিক কারণেই এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত অতিরিক্ত খসড়ায় ১ লাখের বেশি মানুষের সঙ্গে তাঁদের নাম বাদ গেছে।
আফ্রিদা জানান, ফাতিমা ও নুরুলের বিরুদ্ধে নওগাঁও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে ১৫ জুন থেকে মামলা শুরু হয়েছে। এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা নাকি বাংলাদেশ থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে এসেছেন। হিন্দু-মুসলিমনির্বিশেষে এ রকম অগণিত সংখ্যালঘু আসামে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উগ্র অসমিয়া জাত্যভিমান আর আধিপত্যবাদের জাঁতাকলে বাঙালিদের সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে আসামের অনেকেই অভিযোগ করছেন। তবে সরকার এ বিষয়ে এখনো নির্বিকার।