আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) থেকে সেখানকার বাঙালি হিন্দু-মুসলমানের নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে কলকাতায় বিশাল সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রস্থল ধর্মতলার রাণী রাসমণি রোডে এই সমাবেশ হয়।
‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন এই সমাবেশের ডাক দেয়। এতে আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, আন্দামান, মণিপুর প্রভৃতি রাজ্যের ‘আমরা বাঙালী’ এর নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, পঞ্জি থেকে যে সব বাঙালির নাম বাদ গেছে তাদের নাম অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নইলে তারা এনআরসি বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। গত ৩১ আগস্ট আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে ১৯ লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দু-মুসলমানের নাম। এটা বাঙালিরা মানবে না।
সমাবেশে ‘আমরা বাঙালী’ এর পক্ষ থেকে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়। কারণ হিসেবে সংগঠনটি বলছে, আসাম সরকারই এনআরসির নামে বাঙালিদের তাড়ানোর নীলনকশা তৈরি করেছে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, আসাম, উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ সারা ভারতের প্রতিটি বাঙালির ন্যায্য নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। হিন্দির আগ্রাসন রুখতে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাঙালিদের বঞ্চনা ও শোষণ থেকে মুক্ত করতে অবিলম্বে বাঙালি রেজিমেন্ট এবং ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলসহ সারা ভারতে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলি নিয়ে ‘বাঙালিস্তান’ গড়তে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রভাত খাঁ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শংকর গঙ্গোপাধ্যায়।
আলোচনায় অংশ নেন ‘আমরা বাঙালি’ এর জাতীয় সম্পাদক বকুল রায়, অনন্ত মালাকার, নজরুল ইসলাম (গোয়ালপাড়া, আসাম), জয়নুল ইসলাম (মণিপুর), বাপী হালদার (আন্দামান–নিকোবর), সাধন পুরকায়স্থ (আসাম), অঙ্গজ মাহাত (ঝাড়খন্ড), হরিগোপাল দেবনাথ (ত্রিপুরা), মহম্মদ আহম্মদ আলি ও কবি বিপ্লব মল্লিকসহ (মণিপুর) কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের ‘আমরা বাঙালী’এর নেতৃবৃন্দ।