কানাডার আলবার্টার বানফ জাতীয় উদ্যানে বাদামি রঙের একটি খ্যাপাটে ভালুকের আক্রমণে দুজন মারা গেছেন। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের পোষা কুকুরটিও ভালুকের আক্রমণে মারা গেছে। কানাডার ওই জাতীয় উদ্যানের কর্মকর্তা এবং নিহত দম্পতির এক বন্ধু খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
কানাডার জাতীয় উদ্যানগুলো তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান পার্কস কানাডা কর্তৃপক্ষ গত শনিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার রাতে একটি জিপিএস যন্ত্র থেকে তাদের কাছে একটি সতর্কসংকেত আসে।
এর মধ্য দিয়ে তারা বুঝতে পারে, বানফ জাতীয় উদ্যানে রেড ডিয়ার রিভার ভ্যালিতে ভালুকের আক্রমণ হয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও বলেছে, আক্রমণাত্মক আচরণ করতে থাকায় ভালুকটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
বিয়ার সেফটি অ্যান্ড মোর-এর প্রতিষ্ঠাতা কিম টিটচেনার বলেন, ভালুকের আক্রমণে প্রাণ হারানো দুজন স্বামী-স্ত্রী। ভালুকের আক্রমণে তাঁদের পোষা কুকুরটিও প্রাণ হারিয়েছে। কিম টিটচেনার ওই দম্পতির পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। তাঁর পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠান ভালুক থেকে নিরাপদে থাকাসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
টিটচেনার বলেন, মানুষের ওপর ভালুকের আক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ভালুকের আক্রমণে প্রাণ হারানোর ঘটনা বিরল। রয়টার্সকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১৪ শতাংশ বাদামি রঙের ভালুকের আক্রমণে প্রাণহানি হয়ে থাকে।
শরৎকালে বেশি বেশি ভালুকের দেখা মেলে। শীতকালের জন্য সংগ্রহ করে রাখতে এগুলো শরতে খাবারের খোঁজে বের হয়।
প্রতিবছর বানফ জাতীয় উদ্যানে ৪০ লাখের বেশি পর্যটক ভিড় করেন। বাদামি ও কালো—দুই রঙের ভালুকেরই বসবাস সেখানে।
টিটচেনার বলেন, বানফ জাতীয় উদ্যানে প্রায় ৬০টি গ্রিজলি ভালুক (বাদামি রঙের ভালুক) আছে।
পার্কস কানাডা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঘটনার সময় আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না থাকায় সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। তাদের উদ্ধারকারী দলকে রাতভর হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয়েছে। শনিবার ভোরে তারা সেখানে পৌঁছায় এবং দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে।
পার্কস কানাডা কর্তৃপক্ষ বলেছে, রেড ডিয়ার এবং প্যানথার ভ্যালির আশপাশের এলাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ থাকবে।
নিহত দম্পতির পরিচয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি পার্কস কানাডা কর্তৃপক্ষ।