মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই দণ্ড পেয়েছেন তিনি। একসময় হন্ডুরাসের সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত মিত্র বিবেচনা করা হতো।
৫৫ বছর বয়সী হুয়ান অরল্যান্ডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে কোকেন পাচারকারীদের রক্ষার জন্য লাখো ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। পাচারকারীদের রক্ষা করতে লড়াই করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানের আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
গতকাল বুধবার ম্যানহাটানের আদালতে হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ৪৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন ডিস্ট্রিক্ট বিচারক কেভিন ক্যাসেল।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হুয়ান অরল্যান্ডো। রায়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। ভুল ও অযৌক্তিকভাবে আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
২০১৪ সালে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ। ক্ষমতায় ছিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। তাঁর কারাদণ্ডের খবরে দেশে–বিদেশে হন্ডুরাসের বহু মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। তাঁদের মতে, এটা তাঁদের দেশের শাসকশ্রেণির একজন সদস্যের দুর্নীতি ও প্রতারণার জন্য জবাবদিহির একটি বিরল উদাহরণ।
তবে আদালতে কৌঁসুলিরা হুয়ান অরল্যান্ডোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, যেসব দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক শক্তিশালী অপরাধী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এই শাস্তি তাঁদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেবে।
যদিও হুয়ান অরল্যান্ডো আদালতকে জানান, তিনি মাদক চক্রের কাছ থেকে কোনো ঘুষ নেননি।
এর আগে ২০২১ সালে হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজের ভাই টনি হার্নান্দেজকে মাদকের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।