করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে জারি বিধিনিষেধ অবশেষে প্রত্যাহার করেছে চীন। আজ বুধবার দেশটির সরকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের কথা জানায়। মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল চীনে। এ বিধিনিষেধের কারণে দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির চীনকে বেশ ভুগতেও হয়েছে। বিধিনিষেধের কড়াকড়ি দেশটির মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে ‘বিরল’ বিক্ষোভও হয়েছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমণ ঠেকাতে এসব কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে বেইজিং। এতে প্রথম দিকে চীনে সংক্রমণ ছিল কম। গত তিন বছরে প্রায় সব দেশ করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর সরকারের গৃহীত ‘শূন্য করোনা নীতি’ থেকে সরে আসেননি। গতকালের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সি চিন পিং তাঁর ‘শূন্য করোনা নীতি’ থেকে কিছুটা নমনীয় হলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করলেও চীনের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে দেশটির মানুষের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার হার তুলনামূলক কম; বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে। এ ছাড়া দেশটিতে নতুন করে করোনার সংক্রমণও বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে দৈনিক করোনা শনাক্ত ৪০ হাজারে গিয়েও ঠেকেছিল। বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ যখন চূড়ায়, তখনো চীনে এত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হননি। তাই ভ্রমণ ও গণহারে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা একেবারে প্রত্যাহার করা হয়নি।
দেশটির নতুন করোনা বিধিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে করোনার পরীক্ষার হার কমবে। মানুষের বেশি ক্ষোভের জন্ম দেওয়া বিধিনিষেধ শিথিল হবে। এখন থেকে মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীরা বাড়িতেই পৃথক থাকতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থান ছাড়া অন্যান্য স্থানে করোনার সনদ দেখাতে হবে না। বয়স্ক মানুষদের টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করবে চীনা কর্তৃপক্ষ।