যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সহখেলোয়াড়দের সঙ্গে এনসিএএ কলেজ বাস্কেটবল খেলোয়াড় অলিভিয়ার রিউস্ক (মাঝে)
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সহখেলোয়াড়দের সঙ্গে এনসিএএ কলেজ বাস্কেটবল খেলোয়াড় অলিভিয়ার রিউস্ক (মাঝে)

সবচেয়ে বেশি উচ্চতার কিশোর

বাড়ি থেকে ক্লাসে, এরপর ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর বাস্কেটবল খেলতে যাওয়া, সেখান থেকে বাড়িতে ফেরা, পুরো সময় পথে পথে অনেক মানুষের আবদার মেটাতে তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতে হয়, কথা বলতে হয় অলিভিয়ার রিউস্ককে।

কোনো কোনো দিন ছবি তোলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু ছবি তুলতে গিয়ে আবদারকারীর সঙ্গে একই ফ্রেমে জায়গা নিতে রিউস্ককে খানিকটা কসরত করতে হয়। তাঁর উচ্চতা যে ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি! সদ্য ১৮ বছর বয়সে পা দিয়েছেন রিউস্ক। পড়েন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

রিউস্ক ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কিশোর হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর, উচ্চতা ছিল ৭ ফুট ৫ দশমিক ৩৩ ইঞ্চি।

বন্ধুদের কাছে ‘অলি’ নামে পরিচিত রিউস্ক এখন সবচেয়ে লম্বা কিশোর হওয়ার পাশাপাশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খেলা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বাস্কেটবল খেলোয়াড়।

রিউস্কের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডার কুইবেকের টেরেবোনে। অল্প বয়সেই বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করার পর রিউস্ক দেখতে পান, তাঁর বেশির ভাগ শিক্ষকের উচ্চতা তাঁর চেয়ে কম। মাত্র আট বছর বয়সে রিউস্কের উচ্চতা ৬ ফুট ছাড়িয়ে যায়। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার আগেই তাঁর উচ্চতা পৌঁছে যায় ৭ ফুটে।

রিউস্কের মায়ের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, বাবা ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ভাই ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি।

রিউস্ক বলেন, ‘নানির বাড়িতে একটি দেয়াল ছিল। আমি ও আমার ভাই ওই দেয়ালে নিজেদের উচ্চতা মাপতাম। একদিন মাপতে গিয়ে দেখা গেল, আমি ভাইকে ছাড়িয়ে গেছি।’

কানাডার বাড়িতে রিউস্কের জীবনযাপন আরামদায়ক রাখতে কিছু জিনিস বিশেষভাবে তৈরি করতে হয়েছিল। যেমন তাঁর বিছানা। প্রতিবার দরজা পার হতে গিয়ে তাঁকে মাথা নিচু করতে হয়। ভুল হলেই মাথা ঠুকে যায়।

রিউস্কের জুতার মাপ ২০। তিনি কখনো স্কুটার চালান না। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারি না।’ শ্রেণিকক্ষের ডেস্কেও বেশ কায়দা করে বসতে হয় তাঁকে।

রিউস্ক ৫ বছর বয়স থেকে বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন।