বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১ জুলাই। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন শেখ নেয়ামত উল্লাহ।
প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানাকে বলা হয় ‘জনমানুষের রাজকন্যা’। তিনি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রথম স্ত্রী। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালের ১ জুন যুক্তরাজ্যের নরফোক এলাকার স্যানড্রিংহামে জন্ম হয় ডায়ানার। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।
চার্লস-ডায়ানা দম্পতির বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাকাপাকিভাবে থিতু হয়েছেন।
জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার ভয়াবহতা দেখেছিল বিশ্ব। এই মারণাস্ত্রের বিস্তার রোধে ও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বাড়াতে ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ৬২টি দেশ।
ফ্রান্সে প্রতিবছর সাইকেলে করে ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। এই ভ্রমণের নাম ‘ট্যুর ডি ফ্রান্স’। ২৩ দিনে ২১টি স্তরে শেষ হয় এই ভ্রমণ। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই প্রথম এই ভ্রমণ শুরু হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইকেল ভ্রমণের আয়োজন।
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। ব্রিটেনের উপনিবেশের অধীনে থাকা কানাডা, নোভা স্কটিয়া ও নিউ ব্রানসউইক প্রদেশকে ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই একত্র করা হয়। স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলের নাম দেওয়া হয় ‘ডোমিনিয়ন অব কানাডা’। কানাডা পুরোপুরি স্বাধীন হওয়ার পথে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমানে দিনটিকে ‘কানাডা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।