আটলান্টিকের তলদেশে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। তবে পুরো ধ্বংসাবশেষ একসঙ্গে ক্যামেরায় ধারণ করা সম্ভব হয়নি কখনোই। শেষ পর্যন্ত থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে সফল হয়েছেন গবেষকেরা। প্রথমবারের মতো পুরো ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি তৈরি করতে পেরেছেন তাঁরা।
ত্রিমাত্রিক স্ক্যানের মাধ্যমে টাইটানিকের পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরি করতে ২০২২ সালে মাঠে নামেন গবেষকেরা। সে বছর গ্রীষ্মে ছয় সপ্তাহ ধরে সাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের তথ্য সংগ্রহ করে রোমিও ও জুলিয়েট নামের দুটি যান। মোট ১৬ টেরাবাইট তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকেই তৈরি করা ছবিটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে যাচ্ছিল টাইটানিক। সেটি ছিল জাহাজটির প্রথম যাত্রা। পথে ১৫ এপ্রিল এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় টাইটানিক। মৃত্যু হয় জাহাজে থাকা আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ যাত্রীর। সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল টাইটানিক।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে। স্থানটি কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে। ১৯৬৫ সালে প্রথম ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পাওয়া যায়। তখন থেকেই সেটিকে ঘিরে ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণা চালানো হচ্ছে। তবে কখনোই ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।
ত্রিমাত্রিক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ছবি তৈরির কাজটি করেছে ম্যাগেলান লিমিটেড ও আটলান্টিক প্রোডাকশন নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে জড়িত বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি টাইটানিকের ধ্বংস হওয়া নিয়ে ধারণা পুরোপুরি বদলে দিতে পারে।