জীবাশ্মটির ডানা, কাঁধ, পা ও মেরুদণ্ড পাওয়া গেছে। তবে এর মাথার খুলি পাওয়া যায়নি
জীবাশ্মটির ডানা, কাঁধ, পা ও মেরুদণ্ড পাওয়া গেছে। তবে এর মাথার খুলি পাওয়া যায়নি

স্কটল্যান্ডের দ্বীপে পাওয়া গেল উড়ন্ত সরীসৃপের নতুন প্রজাতির জীবাশ্ম

স্কটল্যান্ডের আইল অব স্কাই দ্বীপ থেকে একটি অনন্য প্রজাতির উড়ন্ত সরীসৃপ বা টেরোসরের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। সাড়ে ১৬ কোটি ৮০ লাখ থেকে ১৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে এ প্রজাতির উড়ন্ত সরীসৃপের অস্তিত্ব ছিল। এ ধরনের সরীসৃপগুলোর বেশির ভাগেরই আবাস ছিল চীন।

সমুদ্রসৈকতে একটি পাথরের ওপর জীবাশ্মটির সন্ধান পাওয়া গেছে। জীবাশ্মটির ডানা, কাঁধ, পা ও মেরুদণ্ড পাওয়া গেছে। তবে এর মাথার খুলি পাওয়া যায়নি।
স্কাই দ্বীপে এ পর্যন্ত পাওয়া দ্বিতীয় টেরোসর এটি। এ প্রজাতির টেরোসরকে সিওপটেরা নামে ডাকা হতো।

স্কটিশ গায়েলিক শব্দ সিও থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এর অর্থ হলো কুয়াশা।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিজ মার্টিন সিলভারস্টোন একটি সিটি স্ক্যানার ব্যবহার করে জীবাশ্মটির ত্রিমাত্রিক ডিজিটাল মডেল তৈরি করেছেন। মিডল জুরাসিক নামে পরিচিত ওই যুগের কোনো জীবাশ্ম পাওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত বিরল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সিলভারস্টোন বলেন, ‘ওই সময়ের একটি হাড়ের চেয়ে আরও বেশি কিছু পাওয়াটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।’

ওই উড়ন্ত সরীসৃপের এক থেকে দেড় মিটার প্রস্থের পাখা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক স্টিভ ব্রুসাট্টে এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন। তবে তিনি বলেছেন, আবিষ্কারটি স্কটল্যান্ডের জন্য অনন্য বিষয়। এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে, বিবর্তনের আদিম ও পরবর্তী ধাপগুলোতে একধরনের টেরোসরের অস্তিত্ব ছিল। এটি পাখিদের অস্তিত্বেরও আগের সময়ের কথা। তখন টেরোসররা আকাশ শাসন করত। এ গবেষণায় দেখা গেছে, টেরোসররা স্কটল্যান্ডের সাধারণ প্রাণী ছিল। তারা ডাইনোসরদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে বেড়াত।

অধ্যাপক ব্রুসেট্টে এমন একটি প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন, যেটি ২০২২ সালে অন্য ধরনের একটি টেরোসরের সন্ধান পেয়েছিল।

ব্রুসেট্টে বলেন, মিডল জুরাসিক যুগে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী একটি দ্বীপের অংশ ছিল স্কটল্যান্ড। ওই দ্বীপে কিছু সমুদ্রসৈকত ও অগভীর হ্রদ থাকায় এবং সেখানকার আবহাওয়ার কারণে টেরোসররা সেখানে থাকতে পছন্দ করত বলে মনে করা হয়।