উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন অভিযোগ তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের কাছে ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট বিক্রি করেছে। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউস বলেছে, কাজটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। ওয়াগনারের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে উত্তর কোরিয়া ও ওয়াগনার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, ইউক্রেনে রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের ১ থেকে ২০ হাজারের কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ওয়াগনার গ্রুপ সম্প্রতি সিরিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় সক্রিয় হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা–বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াগনার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জোরালো করতে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র সরবরাহকারীদের খোঁজ রাখছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি উত্তর কোরিয়া প্রাথমিকভাবে ওয়াগনার গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এ জন্য অর্থও পেয়েছে।’
হোয়াইট হাউস বলেছে, ওয়াগনার গ্রুপ উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কিরবি বলছেন, ওয়াগনার প্রতি মাসে ইউক্রেনে ১০ কোটিরও বেশি ডলার ব্যয় করছে। তিনি আরও বলেন ওয়াগনার গ্রুপ এখন ক্ষমতাসীন রুশ সেনাবাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে উত্তর কোরিয়ার কাছে সহায়তা চাইছেন, তাতে প্রমাণ হয় রাশিয়া বিচ্ছিন্ন ও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তবে ওয়াগনার এর কর্ণধার ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব খবর ভিত্তিহীন বলেছে। উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র বলেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো অস্ত্র বিনিময় হয়নি। উত্তর কোরিয়া অবস্থান বদলায়নি।
২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের সময় থেকে ওয়াগনার গ্রুপ কাজে নেমেছে বলে ধারণা করা হয়।