বাঁধ ধ্বংসের জেরে খেরসন অঞ্চলের নিপ্রো নদীর তীরের রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমনটাই বলছেন।
জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস ইউক্রেনের খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধটি ধ্বংসের ঘটনায় গুরুতর ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
নিপ্রো নদীতে নির্মিত সোভিয়েত আমলের নোভা কাখোভকা বাঁধটি (জলবিদ্যুৎকেন্দ্র) গতকাল মঙ্গলবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাঁধটি ধ্বংসের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরকে দায়ী করেছে।
বাঁধটি ধ্বংসের পর যুদ্ধাঞ্চলসহ আশপাশের একটা বড় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে ইতিমধ্যে হাজারো মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের হিসাবমতে, বাঁধ ধ্বংসের জেরে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
বাঁধটি থেকে অঞ্চলটির খেরসন শহরের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। গতকালই শহরটির নিম্নাঞ্চলের পানির স্তর ৩ দশমিক ৫ মিটার বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, বাঁধধসের ফলে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খাদ্য, নিরাপদ পানি ও জীবিকা বিনষ্ট হবে। এই ঘটনা দক্ষিণ ইউক্রেনের উভয়পক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকার হাজারো মানুষের জন্য মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনবে।
মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, বাঁধধসের বিপর্যয়ের মাত্রা আগামী দিনগুলোতে পুরোপুরিভাবে বোঝা যাবে।
বাঁধধসের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বন্যার কারণে সম্ভবত ‘অনেকের মৃত্যু’ হয়েছে।
খেরসন অঞ্চলের নিপ্রো নদী রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পৃথক করেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কাখোভকা বাঁধটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে।