রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত কমে এসেছে। তাই ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে সেকেলে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সামরিক বাহিনী। আজ শনিবার এই দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর গার্ডিয়ানের
রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে দেশটির বৈদ্যুতিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির ৬০ লাখ বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এদিকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি হাজির করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ছবিগুলো ইউক্রেনে হামলার সময় ধ্বংস করা এএস-১৫ কেন্ট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ। গত শতকের আশির দশকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ধারণা করা হচ্ছে, পুরোনো ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভারসাম্য ধরে রাখতে এর বদলে সেগুলোতে অন্য কিছু স্থাপন করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। এতে বোঝা যাচ্ছে, তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত কমে এসেছে।
এদিকে শীতের দাপটে ইউক্রেনে দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যসংকটের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে কিয়েভ পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। এ সময় তিনি শীতের কবল থেকে ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আলাদা করে আর্থিক সহায়তা চান।