ইংল্যান্ডের ক্লাকটন আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাইজেল ফারাজ
ইংল্যান্ডের ক্লাকটন আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাইজেল ফারাজ

প্রথমবারের মতো জয়ী আলোচিত কট্টরপন্থী নাইজেল ফারাজ

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রেক্সিটপন্থী আলোচিত নেতা নাইজেল ফারাজ। তাঁর কট্টর ডানপন্থী দলও এবার উল্লেখজনক সাফল্য পেয়েছে। আর এই সাফল্যকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাশক্তির বিরুদ্ধে উত্থানের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

২০১৮ সালে রিফর্ম ইউকে দল প্রতিষ্ঠা করেন নাইজেল ফারাজ। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৬৫০টি আসনের পাঁচ ভাগের প্রায় চার ভাগ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, নাইজেল ফারাজের দল চারটি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের ক্লাকটনে ফারাজের নিজের আসনটিও আছে। ওই আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য হতে এবার অষ্টমবারের মতো চেষ্টা চালান ফারাজ। এবারই প্রথম সফল হয়েছেন। কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন এ নেতা।

যুক্তরাজ্যের কট্টর ডানপন্থী শিবিরে থাকা তাঁর দল রিফর্ম ইউকেও নির্বাচনে উল্লেখজনক সাফল্য দেখিয়েছে।

নির্বাচনে ক্লাকটন আসন থেকে জয়ী হওয়ার পরপরই দেওয়া ভাষণে ফারাজ বলেন, ‘আপনাদের চমকে দেবে, এমন কিছুরই প্রথম ধাপ এটি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতাশক্তির (এস্টাবলিশমেন্ট) বিরুদ্ধে উত্থান হচ্ছে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক বুথফেরত জরিপে আভাস পাওয়া যায়, ইউকে রিফর্ম ১৩টি আসন পাবে, যা নির্বাচনী প্রচারের শেষে দিকে দেওয়া আভাসের চেয়ে বেশি।

এর আগে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দলটি কখনো একটির বেশি আসনে জয়ী হতে পারেনি।

৬০ বছর বয়সী ফারাজ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র। একসময় কনজারভেটিভ দলে ছিলেন ফারাজ। ১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে তিনি ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির (ইউকেআইপি) হয়ে কাজ শুরু করেন। দলটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে সোচ্চার ছিল দলটি।

২০১৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে নজিরবিহীন জয় পান নাইজেল ফারাজ। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ওই দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এ সময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টিকে আরও সামনের দিকে নিয়ে আসেন।

তবে ইউকেআইপি কখনোই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে একটির বেশি আসনে জয়ী হতে পারেনি। নাইজেল ফারাজ নিজেও সাতবার পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ভোটের (ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা হওয়া) নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় জাতীয়ভাবে তাঁর গুরুত্ব বাড়তে থাকে। পরে ডানপন্থী টিভি চ্যানেল জিবি নিউজে উপস্থাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।