ফ্রান্সের ১ হাজার ৮৩ ফুট (৩৩০ মিটার) উচ্চতার আইফেল টাওয়ারে চড়তে আসা পর্যটকদের নিয়ে লিফট তখন একেবারে শীর্ষে উঠে গেছে। কিন্তু আচমকাই লিফটি থেমে যায়। টাওয়ারে ওঠা এক ব্যক্তির কারণে লিফট আটকে পড়েছিল। লিফটে অনেকের সঙ্গে আটকা পড়েছিলেন এপির এক সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন ডিসির এক জুটি।
ওই জুটির একজন আমির খান। সেদিন তাঁর পরিকল্পনা ছিল, ভিড় থেকে দূরে সেইন নদীর পাড়ে প্যারিস গার্ডেনে বান্ধবী ক্যাট ওয়ারেনকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন। এরপর তাঁরা এক রোমান্টিক নৈশভোজে যাবেন, এমন পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
কিন্তু লিফট যখন কিছুটা সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, তখনই আমিরের মাথায় বুদ্ধি এল, এখনই সেই মোক্ষম সময়।
আমির যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট থেকে যাওয়া এপির সাংবাদিককে বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এখানে আমাদের অনেকক্ষণ আটকা পড়ে থাকতে হতে পারে। আর নৈশভোজটি ভেস্তে যাক, সেটা আমি চাইনি। ক্যাট সব সময় আইফেল টাওয়ারের ওপরে বা নিচে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হোক, সেটা চেয়েছিল। তাই আমি ভেবেছিলাম, “এটাই হলো সেই মুহূর্ত”।’
জবাব কী এল? জানতে চাইলে আমির বললেন, অবশ্যই ‘হ্যাঁ’।
ক্যাট হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমির আমাকে দিয়ে “হ্যাঁ” বলিয়ে নেওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কেউ যখন ১ হাজার ৮৩ ফুট উঁচুতে আটকা পড়ে, তখন একজন কীভাবে “না” বলবে।
ক্যাট মজা করে বলেন, ‘আজ যা হয়েছে, তা শোনার পর আজ আবারও হয়তো কেউ আইফেল টাওয়ারে চড়ার চেষ্টা করবে।’
প্যারিস ল্যান্ডমার্কের যোগাযোগ পরিচালক অ্যালিস বিউনার্দিও বলেন, যার কারণে লিফট আটকে পড়েছিল, সেই আরোহণকারীকে আইফেল টাওয়ারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মাঝামাঝি পাওয়া গেছে। দমকল বাহিনীর বিশেষ একটি দল ওই ব্যক্তিকে পরে নামিয়ে আনে। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিউনার্দিও বলেন, পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি মার্কিন গায়ক-গীতিকার বিলি আইলিশের একটি ব্যানার বহন করছিলেন।