রাশিয়া তাদের বৃহত্তম পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ দিন আগে রাশিয়া এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে। এরপরে ইইউ সতর্কতা জারি করে বলে, মস্কো গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আনবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। খবর বিবিসির
বিবিসি বলছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে নর্ড স্ট্রিম–১ দিয়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও তা আগের চেয়ে কম। রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে গ্যাস ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমাতে গতকাল বুধবার ইইউ সদস্যদেশগুলোকে আহ্বান জানায় ইউরোপিয়ান কমিশন।
রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় ক্রেতা ইউরোপ। ২০২১ সালে রাশিয়া তাদের উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশই রপ্তানি করেছিল ইউরোপে। জার্মানিতে ঠিক করতে দেওয়া সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে গত জুনের মাঝামাঝি নর্ড স্ট্রিম-১ দিয়ে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া।
২০২০ সালে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাসের বড় আমদানিকারক ছিল জার্মানি। তবে বিবিসি বলছে, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর জার্মানির নির্ভরশীলতা কমেছে। আগে জার্মানি তাদের মোট চাহিদার ৫৫ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করলেও তা কমে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। জার্মানি রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে চায়।
প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। তাই শীতের তুলনায় এই সময় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকে। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি ইউরোপের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের এক কথায় উদ্বেগ বাড়ে ইউরোপে।
সম্প্রতি পুতিন বলেছিলেন, এই পাইপলাইনের টারবাইন মেরামতের জন্য কানাডায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এলে টারবাইনের অবস্থা কেমন থাকবে, সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কার নন। তিনি আরও বলেন, ঝুঁকি আছে, তাই নর্ড স্ট্রিম-১ পুনরায় চালু না-ও হতে পারে। পুতিনের কথার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক হয় ইউরোপ।