‘ব্ল্যাকি’ একটি বিড়ালের নাম। মিশমিশে কালো গায়ের রঙের কারণে হয়তো বিড়ালটির এমন নাম রাখা হয়েছিল। দেখতে আর দশটা সাধারণ বিড়ালের মতো হলেও একটি ক্ষেত্রে ব্ল্যাকি অনন্য।
শুধু কি তা-ই, ১৯৮৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ব্ল্যাকির নাম উঠেছে। কেননা ৩৫ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে নাম রয়েছে ব্ল্যাকির। এখনো গিনেসের পাতায় বিড়ালটির এই স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন রয়েছে।
গিনেসের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার ব্ল্যাকিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালে যখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়ালের স্বীকৃতি পেয়েছিল, তখন ব্ল্যাকির সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। বর্তমানে বিড়ালটির সেই সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে।
কিন্তু একটি বিড়াল হয়ে ব্ল্যাকি কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলো? এ প্রশ্ন নিশ্চয়ই মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে। প্রাণীটির ধনী হয়ে ওঠার গল্পটাও বেশ বিচিত্র।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, ব্ল্যাকির মালিকের নাম ছিল বেন রেয়া। যুক্তরাজ্যের বাকিংহ্যামশায়ারের বাসিন্দা বেন মূল্যবান প্রাচীন দ্রব্যাদি সংগ্রহ ও বিক্রি করতেন। এভাবে কোটি কোটি ডলারের মালিক হন তিনি।
১৯৮৮ সালে মারা যান ধনকুবের বেন। মৃত্যুর আগে নিজের সম্পদের বড় একটি অংশ পোষা বিড়াল ব্ল্যাকির জন্য দিয়ে যান তিনি। বেনের পরিবার ছিল। এরপরও প্রিয় পোষ্য ব্ল্যাকির প্রতি ভালোবাসা থেকে এই কাজ করেন বেন।
মূলত তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে নিজের সম্পদের বেশির ভাগ উইল করে গিয়েছিলেন বেন। এসব প্রতিষ্ঠান পোষা প্রাণীদের দেখভাল, সুরক্ষা দেওয়ার কাজে যুক্ত। উইলের শর্ত ছিল, প্রিয় বিড়াল ব্ল্যাকি যত দিন বেঁচে থাকবে, তত দিন প্রাণীটির দেখভাল করতে হবে।
তবে বেনের প্রিয় ব্ল্যাকি কত দিন বেঁচে ছিল কিংবা বেনের মৃত্যুর পর ব্ল্যাকির ভাগ্যে কী জুটেছিল, সেই বিষয়ে গিনেসের ওয়েবসাইটে কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ব্ল্যাকির দখলে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়ালের রেকর্ড এখন পর্যন্ত আর কেউ ভাঙতে পারেনি।