মলদোভায় ইউরোপের পক্ষে বড় শোভাযাত্রা

ইউরোপের পক্ষে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। কিসিনাউ, মলদোভা, ২১ মে
ছবি: রয়টার্স।

মলদোভার রাজধানী কিসিনাউয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষে বড় শোভাযাত্রা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু গতকাল রোববার এ শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে আনুমানিক ৭৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।

ইইউয়ের সদস্যপদ পেতে তৎপরতা চালাচ্ছে ইউরোপের ছোট্ট দেশ মলদোভা। পশ্চিমাপন্থী মাইয়া সান্দুর সরকারের অভিযোগ, দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা তৈরিতে রুশপন্থী বিরোধী সোর পার্টিকে ইন্ধন দিচ্ছে রাশিয়া। যদিও মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু বলেন, তাঁর দেশ আর জোটহীনভাবে থাকতে চায় না।

২০৩০ সালের মধ্যে মলদোভাকে ইইউয়ের সদস্যরাষ্ট্র করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আর কোনোভাবেই ইউরোপের (ইইউ) বাইরে থাকতে চাই না।’ মলদোভা ‘ক্রেমলিনের ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে চায় না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া লোকজন ইইউয়ের পতাকা নাড়াতে থাকেন এবং ইইউর পক্ষে নানা স্লোগান দেন।

২৭ সদস্যদেশের জোট ইইউয়ের সদস্য হতে গত বছর ইউক্রেনের পাশাপাশি মলদোভাও আবেদন করেছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করে। এর পর থেকে কিসিনাউয়ে ও কিয়েভ—উভয়েই ইইউয়ের সদস্যভুক্ত হতে জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই বেশ উদ্বেগে রয়েছে ইউরোপের ছোট্ট দেশ মলদোভার প্রশাসন। দেশটিতে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষ সেখানে অবস্থান করছে।

সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র মলদোভার জনসংখ্যা ২৬ লাখের কিছু বেশি। ইউরোপের অন্যতম দরিদ্র দেশ এটি।

মলদোভার সংকট শুধু শরণার্থী নিয়েই নয়। তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে রাশিয়া-ভীতিও। মাইয়া সান্দু সরকারের আশঙ্কা, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সফল হয়, তবে মলদোভাকেও ছেড়ে কথা বলবে না। কারণ, ইউক্রেনের মতো মলদোভাতেও রুশ ভাষাভাষী লোকজন রয়েছে। দেশটির রাজনীতিও ইউরোপপন্থী ও রুশপন্থী—এ দুই ধারায় বিভক্ত।