চতুর্থ দিনে গড়াল ফ্রান্সের বিক্ষোভ, বিপণিবিতানের ছাদ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

ফ্রান্সজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক সহিংসতা
ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার জেরে চলমান সহিংস বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। একদিকে চলছে বিক্ষোভকারীদের জ্বালাও–পোড়াও। অন্যদিকে চলছে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহরের বিপণিবিতানে ছাদ ভেঙে পড়ে একজনের প্রাণ গেছে।

আর বিক্ষোভের তৃতীয় রাতে ফ্রান্সজুড়ে অন্তত ৯৯৪ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে বিক্ষোভ চলাকালে পেচি কেলি শহরের একটি ছাদ ভেঙে পড়ে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বয়স ২০ বছর। তিনিসহ বেশ কয়েকজন একটি বিপণিবিতানের ছাদ ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন।

পুলিশের দাবি, আহত অবস্থায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, বিপণিবিতানে লুটপাট চালানোর উদ্দেশে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তিনি।

সরকারি কৌঁসুলি জানান, শুক্রবার ভোরে ওই ব্যক্তি বিপণিবিতানের ছাদ ভেঙে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন। দুপুর নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

ফ্রান্সে চলমান এ বিক্ষোভের শুরু গত মঙ্গলবার। ওই দিন দেশটির রাজধানী প্যারিসের শহরতলির নতেঁর একটি তল্লাশিচৌকিতে নেহাল (১৭) নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে নেহালের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী লরেন-ফ্রাঙ্ক লিওনার্দ। এতেও বিক্ষোভ কমেনি। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভের তৃতীয় রাতে অন্তত ৯৯৪ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ মোকাবিলায় ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারসেতে জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।