রাশিয়ার বেলগ্রদ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। গতকাল শুক্রবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ দিনেই ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া।
রাশিয়ার সীমান্ত–সংলগ্ন শহর বেলগ্রদ। ইউক্রেনের খারকিভ শহর থেকে এটি ৮০ কিলোমিটার উত্তরে। হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার বেলগ্রদের গভর্নর ভিয়াচেসলাভ গ্লাদকভ জানান, ইউক্রেনের হামলায় ১০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া হামলার জেরে বেলগ্রদ শহরের পানির সরবরাহব্যবস্থা বাধার মুখে পড়েছে।
এদিকে শুক্রবার বেলগ্রদ লক্ষ্য করে ইউক্রেনের ছোড়া ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকতেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, এদিন রাতভর রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক, ওরিয়ল, কুরস্ক ও মস্কো অঞ্চলে ইউক্রেনের ৩২টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
শুক্রবারেই ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হন। রাজধানী কিয়েভসহ ওদেসা, নিপ্রো, খারকিভ ও লিভ শহরে এসব হামলা চালানো হয়। যুদ্ধ শুরুর পর একে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে আখ্যায়িত করেছে কিয়েভ। এদিনের হামলায় আহত হয়েছেন ১৬০ জনের বেশি মানুষ।
হামলার পর আজ শনিবার কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানান, নিহত ৩৪ জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ হামলায় বিধ্বস্ত একটি সংরক্ষাণাগারের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে শহরটিতে হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে রাশিয়ার নতুন করে ব্যাপক বোমা হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনে এই হামলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে হামলায় বেসামরিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করেছে মস্কো।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ভাষ্য, বেসামরিক স্থাপনাগুলোয় হামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন কেলি বলেন, এই ছুটির মৌসুমে শান্তির বদলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নজিরবিহীন হামলাকে বেছে নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন।